যে আইন ন্যায় বিচার চাওয়ার জন্য বাদী/বাদীগনকে দেওয়ানি মামলা করার একটি সময় নির্ধারণ করে দিয়েছে তাই তামাদি আইন। এক্ষেত্রে, মামলার ধরন, মামলার কারণ, মামলার উৎপত্তির ভিন্নতা ভেদে সময়কে নানান ভাবে ভাগ করা হয়েছে। এছাড়া, উক্ত সময় কখন হতে ও কিভাবে গণনা করা হবে এবং বিশেষ সুবিধা অসুবিধা বা প্রতিবন্ধকতা কিভাবে হিসেব করা হবে তাও এ আইনে ব্যাখ্যা করা আছে।
ব্যাংকিং সেক্টরে তামাদি আইনের বহুল প্রচলন পূর্বে থাকলেও অর্থঋণ আদালত আইন জারি হওয়ার পর থেকে ব্যাংকগুলো সে আইনের উপর অনেকাংশে নির্ভরশীল হয়ে পরেছে। কারণ, অর্থঋণ আদালত আইন, ২০০৩-এর ৪৬ ধারায় বলা হয়েছে:
‘(১) দ্য লিমিটেশন অ্যাক্ট, ১৯০৮-এ ভিন্নতর বিধান যাহাই থাকুক না কেন, কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠান সম্পাদিত চুক্তি বা চুক্তির শর্ত অনুযায়ী ঋণগ্রহীতার নিকট হইতে ঋণ পরিশোধ সূচী অনুযায়ী ঋণ পরিশোধ শুরু হইবার পরবর্র্তী-
ক) প্রথম এক বৎসরে প্রাপ্য অর্থের অন্যূন ১০%, অথবা
খ) প্রথম দুই বৎসরে প্রাপ্য অর্থের অন্যূন ১৫%, অথবা
গ) প্রথম তিন বৎসরে প্রাপ্য অর্থের অন্যূন ২৫%, পরিমাণ অর্থ আদায় না হইলে উপধারা (২)-এর বিধান সাপেক্ষে উহার পরবর্তী এক বৎসরের মধ্যে মামলা দায়ের করিবে।
0 মন্তব্যসমূহ