হস্তান্তরযোগ্য ঋণের দলিল এক ধরনের আর্থিক হাতিয়ার বা ঋণপত্র যা আইনগতভাবে একজনের কাছ থেকে অন্যজনের নিকট হস্তান্তর করা যায়। ধারক পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে ওই দলিলে লিখিত সম্পত্তিও সরল বিশ্বাসে দলিলগ্রহীতার অধিকারে চলে যায়। শুধু হস্তান্তর দ্বারা এ সকল দলিল বিক্রয, পরিশোধ কিংবা মালিকানা স্থানান্তর করা যায বিধায় দলিল আদেশ দ্বারা অথবা পৃষ্ঠাঙ্কনের মাধ্যমে বাহক দ্বারা এগুলো পরিশোধ্য।
হস্তান্তরযোগ্য দলিল আইন ১৮৮১-অনুযায়ী দলিল হস্তান্তরের কিছু শর্ত রয়েছে। এ আইন অনুযায়ী হস্তান্তর দু’ভাবে হতে পারে-
১. অর্পনের মাধ্যমে; এবং
২. অনুমোদন ও পৃষ্ঠাঙ্কনের মাধ্যমে।
১. অর্পণের মাধ্যমে হস্তান্তর
উক্ত আইনের ৫৮ ধারা অনুযায়ী একটি প্রত্যয়পত্র বা বিনিময় বিল বা চেক হস্তান্তর করা যায়। কিন্তু এ দলিলগুলোতে কোন শর্ত আরোপ করা যাবে না। তবে, ‘কোন নির্দিষ্ট কাজ সংঘটিত হওয়া পর্যন্ত তা কার্যকরী হবে না’- এমন শর্ত আরোপ করা যাবে।
২. অনুমোদন ও পৃষ্ঠাঙ্কন দ্বারা হস্তান্তর
পৃষ্ঠাঙ্কন ও অনুমোদনের মাধ্যমে ৫৮ ধারা অনুযায়ী দলিল হস্তান্তর করা যায়। চেক বা অন্য কোন হস্তান্তরযোগ্য দলিল ফাঁকা অবস্থায় পাওয়ার পর পৃষ্ঠাঙ্কন করা হলে ধারক নিজ নাম স্বাক্ষর ছাড়া পৃষ্ঠাঙ্কনকারীর নামেই দলিলটি পুরোভাবে লিখে পৃষ্ঠাঙ্কন করে নিজেকে বা অন্যকে পরিশোধের নির্দেশ দিতে পারে। এর জন্য ধারকের ওপর পৃষ্ঠাঙ্কনকারীর কোন দায়-দায়িত্ব বর্তাবে না।
0 মন্তব্যসমূহ