Ticker

6/recent/ticker-posts

Header Ads Widget

Revival Letter কী ও কেন নেয়া হয়?

লিমিটেশন এক্ট, ১৯৬৩ এর ধারা ২ (ল) অনুসারে, একটি ঋণ দলিল তথা ডিমান্ড প্রমিসরি নোট (DP Note) এর মেয়াদ তিন বছর বা ৩৬ মাস। ঋণ বিতরনের পর ডিমান্ড প্রমিসরি নোট এর এ মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে আদালতের মাধ্যমে ব্যাংক তার বকেয়া ঋণ পুনরুদ্ধারের জন্য অর্থ মামলা প্রয়োগ করতে পারবে না। 

ফলে ব্যাংকগুলোকে এ বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়। কিন্তু ব্যাংক কর্তৃক ৩ বছর এর অধিক সময় মেয়াদে বিতরণকৃত ঋণের বিপরীতে ইচ্ছে করলেই ৩ বছরের মেয়াদ শেষ হওয়ার পূর্ব মূহুর্তে বা পরে নতুন করে গ্রাহকের নিকট হতে ঋণ নথি বা ডিপি নোট নেয়া সম্ভব হয় না। অথচ ঋণের শেষ পয়সাটুকু আদায় হওয়ার আগ পর্যন্ত ডিপি নোটসহ অন্যান্য ঋণ নথি ঋণ আদায়ের স্বার্থে সংরক্ষণ করা আবশ্যক। 

এ পরিস্থিতিতে, গ্রাহক বা গ্যারান্টারের কাছ থেকে একটি রিভাইবাল লেটার (Revival Letter) বা পুনরুজ্জীবন চিঠি এ মর্মে নেওয়া হয় যে ঋণ প্রদানের সময় ব্যাংকের দ্বারা নেওয়া ডিমান্ড প্রমিসরি নোটটি অব্যাহত নিরাপত্তা হিসেবে বহাল থাকবে। ফলে জামিনদার/ জামিনদারদের থেকে প্রাপ্ত রিভাইভাল লেটার সীমাবদ্ধতা আইনের ধারা ১৮ অনুযায়ী দায় স্বীকারের তারিখ থেকে আরও ৩ বছরের জন্য ঋণ নথির বৈধতার মেয়াদ বাড়ায়। 

তাই বলা যায়, ঋণের নথিগুলিকে জীবিত রাখতে এবং আইন আদালতের মাধ্যমে ব্যাংকগুলিকে ঋণের বকেয়া পুনরুদ্ধারে সক্ষম করার জন্য, ব্যাংকগুলি ঋণগ্রহীতার পাশাপাশি গ্যারান্টার/দের কাছ থেকে একটি পুনরুজ্জীবন পত্র বা রিভাইবাল লেটার নেওয়া হয় যাতে ঋণ ইস্যু করার সময় ব্যাংকের গৃহীত ডিমান্ড প্রমিসরি নোটটি অবিচ্ছিন্নভাবে ঋণের নিরাপত্তা হিসেবে কাজ করে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ